সংবাদ পরিবেশন: মো. জুলফিকার আলী, এআইসিও, কৃষি তথ্য সার্ভিস, সিলেট
কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিক কর্যালয়, সিলেট কর্তৃক আয়োজিত “পতিত জমিতে ফসল উৎপাদনে স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি ও গণমাধ্যম” শীর্ষক কর্মশালা ২৬ মে ২০২৪ তারিখে কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিক কর্যালয়, সিলেট এর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মশালা সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন -কৃষিবিদ মো. মতিউজ্জামান,অতিরিক্ত পরিচালক,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর , সিলেট অঞ্চল, সিলেট। তিনি বলেন- আগামীর কৃষি হবে আধুনিক এবং স্মার্ট কৃষি। এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর ফলে আগামীতে খাদ্য শস্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে। সরকার কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন করার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোনো জমি পতিত রাখা যাবে না। পতিত জমিতে যে ধরনের ফসল উৎপাদন হয় সেই ধরনের ফসল উৎপাদন করতে হবে।
উক্ত কর্মশালার কী নোট উপস্থাপন করবেন ড. মো. ফরহাদ রাব্বি, অধ্যাপক, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট। উপস্থাপনায় জানানো হয়- পতিত বা অনাবাদী জমিতে কৃষি ৪.০ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে চাষাবাদের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং দক্ষতার সঙ্গে সম্পদ ব্যবহার করা।
দেশের মোট আয়তনের শুধু ১০ শতাংশ চরে ২৭ লাখ ৩৩ হাজার একর পতিত জমিতে চাষাবাদ করলে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হবে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা। মূলত পতিত জমি পুনরুদ্ধারে টপোগ্রাফি, জল ও শস্য ব্যবস্থাপনা পরবর্তী স্মার্ট কৃষিতে জিপিএস, জিআইএস, সেন্সর প্রযুক্তি, ভিআরটি, গ্রিনহাউজ চাষসহ নতুন প্রজন্মের কৃষকদের গণমাধ্যমের ভূমিকায় চাষের সহজলভ্যতা, সচেতনতা ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণ করে জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখাই এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।
উক্ত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- কৃষিবিদ মো. আমিনুর ইসলাম, তথ্য অফিসার (কৃষি), খামারবাড়ি, ঢাকা ও আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), কৃষি তথ্য সার্ভিস, সিলেট। মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষিবিদ মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর , সিলেট; কৃষিবিদ বিমল চন্দ্র সোম, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ,সুনামগঞ্জ।
কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ে আওতাধীন সিলেট অঞ্চলে ডিএই, এটিআই, বিএডিসি (বীজ ও সার), বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি,ব্রি, বিনা, বারটান, বারি, এসআডিআই, হর্টিকালচার সেন্টার ও সাইট্রাসের কর্মকর্তাগণ ও প্রগতিশীল কৃষক, সংবাদিকগণ ৪০ জন অংশগ্রহণ করেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS