সংবাদ পরিবেশনে: মো. জুলফিকার আলী, এআইসিও, কৃষি তথ্য সার্ভিস, সিলেট
উপলজলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার এর আয়োজনে শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি লক্ষে নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল নিরুর উঠানে এ বৈঠক ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি লক্ষে কৃষকদের সঙ্গে প্রথম উঠান বৈঠক করেন- ড. মো. আব্দুস শহীদ, কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন - চাষযোগ্য জমি অনেক। এখন বোরোর মৌসুম, অথচ আমন ধান কাটার পর এখানে সব জমি পতিত পড়ে আছে। এসব জমিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে উপায় খুঁজে বের করতে হবে। মৌলভীবাজার জেলায় চাষযোগ্য পতিত জমিকে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে, কোনো জমিতে কী ফসল ফলানো যাবে, সে বিষয়ে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সেচের সমস্যা নিরসনে বিএডিসিকে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার নির্দেশনাও দেন মন্ত্রী। শ্রমিক সংকট নিরসনে ভর্তুকি মূল্যে আরও বেশি করে কৃষি যন্ত্রপাতি দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে লক্ষ্য এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না। কাজেই সেই লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত করতে হবে।কৃষকদের উদ্দেশ্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন- আপনারা আরও বেশি করে ফসল ফলান। সরকার আপনাদের পাশে আছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তারা আপনাদের পাশে আছে। আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করা হবে। উৎপাদন আরও বাড়াতে পারলে কারও পেটে ক্ষুধা থাকবে না, খাদ্য আমদানি করতে হবে না, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে না।
উঠান বৈঠকে মৌলভীবাজার জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সামছুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তালেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, উপজেলা কৃষি অফিসারসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল, উত্তম দেবনাথ, আতর আলী, মহিববুর রহমান প্রমুখ তাদের সমস্যা ও দাবি তুলে ধরেন। এছাড়াও ভর্তুকি মূল্যে ছোট ছোট কৃষি যন্ত্র দেওয়ার দাবি জানান, যাতে কৃষক নিজেই যন্ত্র চালাতে পারেন এবং কৃষকের ঘরেই প্রয়োজনীয় কৃষিযন্ত্রের মজুত থাকে। এতে পাঁচ শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS