মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ ও সাম্মাম চাষে কানাইঘাটে আশিকের চমক
সংবাদ পরিবেশনে: মো.জুলফিকার আলী, এআইসিও, কৃষি তথ্য সার্ভিস, সিলেট
সিলেটে কানাইঘাট উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউনিয়নের নিজ বাউরভাগ পশ্চিম এলাকায় মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ ও সাম্মাম চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন আশিকুর রহমান। নতুন এ পদ্ধতিতে ফসলের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় ভালো ফলন পেয়েছেন। বিদেশী ফল সাম্মাম ও তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এর দামও রয়েছে চড়া। ফলে কম খরচে অধিক মুনাফা পেয়ে দারুন খুশি কৃষক আশিক। তার সফলতা দেখে এ পদ্ধতিতে তরমুজ ও সাম্মামসহ সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার অনেক বেকার যুবক। আশিকুর রহমান জানান, গত ৩ বছর ধরে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন সবজির চাষ করছি। এ বছর ৪ বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে তরমুজ, সাম্মাম, ঝিঙ্গা সহ অনেক রকমের সবজি চাষ করছি। ক্ষেতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় সার-কীটনাশক কম ব্যবহার করা হয়েছে। ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, ২০২১ সালে প্রথম বারের মতো ১৫ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেন। এতে তিনি ৭০ হাজার টাকা লাভ করেন। ২০২২ সালে তিনি ৪ জাতের তরমুজসহ ২০ শতক জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে ৮০ হাজার টাকা লাভ করেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে খরচ শেষে তিনি ২ লক্ষ টাকা আয় করেছেন বলে জানান। এবছর তিনি প্রায় ৪ বিঘা জমিতে সাম্মাম, তরমুজ, শসা, ঝিঙ্গা, সীম ও লাউ চাষ করে ইতোমধ্যে সবজি বিক্রি শুরু করেছেন। সবজি চাষে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শ পেয়েছেন বলে তিনি জানান।
স্থানীয় কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন- আশিকের সফলতার কথা লোক মুখে শুনে তরমুজ ও সাম্মাম চাষের মাঠ দেখতে এসেছি। তার এসব সবজি ক্ষেত আজ গোটা এলাকাজুড়ে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। তাকে দেখে আজ অনেক যুবক কৃষি কাজে এগিয়ে এসেছেন।
কানাইঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার বিশ্বজিৎ রায় বলেন- এ উপজেলার বাসিন্দা কৃষক উদ্যোক্তা আশিকুর রহমান তরমুজ ও সাম্মামসহ নানা ধরনের সবজি চাষ করে যাচ্ছেন। তার এ সবজি চাষে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। অমৌসুমী ফসল চাষের মাধ্যমে তিনি নিজেকে একজন সফল কৃষক হিসেবে প্রমান করেছেন। কৃষক সমিতির একজন সদস্য হিসেবে এটা কৃষি উন্নয়নের জন্য ভালো উদ্যোগ। তাকে দেখে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS