মো. জুলফিকার আলী , এআইসিও, কৃষি তথ্য সার্ভিস, সিলেট
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চলের উদ্যোগে অতিরিক্ত পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে সিলেট অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভা ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। উপদেষ্টা বলেন, আমাদের জাতীয় অর্জনে কৃষক ও কৃষিবিদদের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কৃষি একটি বড় চালিকা শক্তি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে দেশের কৃষি উন্নয়নে সরকার সবসময় আন্তরিক।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার যত কমানো যায়। ভূ-পৃষ্ঠের উপরের (সারফেস) পানি ব্যবহার বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। কৃষিতে প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে কৃষকের লাভ, কৃষির উন্নতি ও ফলন বাড়ানোর বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে। এ বিষয়ে সকলকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, সিলেট অঞ্চলে বিভিন্ন ধরণে ঘাসজাত আগাছার কারনে চাষ ব্যহত হচ্ছে। এ সমস্যা দূরীকরণে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করার ক্ষেত্রে যেন কোন দূর্নীতি না হয়।
সার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আপাতত সারের কোন সংকট নাই। বীজেরও সংকট হবে না। কৃষক যাতে পরামর্শ, সার, বীজ ও পানি ঠিকমতো পায়। সারের ব্যবহার পরিমিত পরিমাণে করতে হবে এবং জৈব সার ব্যবহার বাড়াতে হবে।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, বাজারে কৃষি পণ্যের মূল্য সঠিকভাবে মনিটরিং করতে হবে। কৃষি বিষয়ক সকল পরিসংখ্যান যেন নির্ভরযোগ্য ও সঠিক হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। কৃষি জমি কোন ভাবেই কমানো যাবে না। কৃষি বিষয়ক যে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে এ বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, এবার আমনের ফলন বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় আমন উৎপাদনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আমরা আশা করছি বোরো ফলন ভালো হবে। দেশে চালের সংকট হবে না।
তিনি আরোও বলেন, আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে এলাকা উপযোগী প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। বেকার জনগোষ্ঠিকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করে সীমিত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে সকলকে কাজ করতে হবে। দেশের পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনতে কৃষি সরঞ্জামসহ কৃষকের উন্নয়নে কৃষি সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক হতে হবে। তিনি হাওর অঞ্চলে ১২০ দিনের ধান ১০০ দিনের মধ্যে উৎপাদনের পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য বিজ্ঞানীদের প্রতি আহবান জানান এবং এক ফসলের পরিবর্তে দুই ফসল চাষের জন্য কৃষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ কাজী মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো.এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম। মতবিনিময় সভায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি খামারবাড়ি প্রাঙ্গণে একটি বৃক্ষের চারা রোপণ করেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস